Blog & News

Official blog of Bangladesh Open Source Network

মেটাভার্সের জন্য ইইউ থেকে ১০ হাজার জনবল নিয়োগ দেবে ফেসবুক

মেটাভার্সের জন্য ইইউ থেকে ১০ হাজার জনবল নিয়োগ দেবে ফেসবুক

একটি তথাকথিত উন্নত মেটাভার্স তৈরির জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে ১০ হাজার জনবল নিয়োগ দেওয়ার পরিকল্পনা করছে ফেসবুক। মেটাভার্স মূলত একটি ভার্চুয়াল জগৎ যেখানে ভিআর (ভার্চুয়াল রিয়েলিটি) হেডসেটের মাধ্যমে গেম খেলা যায়, কাজ বা বিভিন্ন যোগাযোগের শক্তিশালী মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করা যায়। ফেসবুকের প্রধান নির্বাহী মার্ক জাকারবার্গ তার কোম্পানির নতুন নাম মেটাভার্স সম্পর্কে এমন ধারণাই দিয়েছেন।

 

ঘোষণাটি এমন একটি সময়ে আসলো যখন ফেসবুক কর্তৃপক্ষ একটি ভয়ানক স্ক্যান্ডালের মুখে পড়েছে এবং এর ক্ষতিকর প্রভাব নিয়ন্ত্রণে একটি লিখিত আইন প্রণয়ণে বিভিন্ন মহলের চাপ বেড়েই চলেছে। 

মেটাভার্স কী?

ফেসবুক তাদের ব্লগপোষ্টে জানিয়েছে, মেটাভার্স সৃষ্টিশীল নতুন, সামাজিক এবং অর্থনৈতিক সুযোগগুলোতে সহজভাবে প্রবেশে শক্তিশালীভাবে সহায়তা করে। এবং ইউরোপীয়রা কাঠামোগতভাবে এটি শুরু করতে পারবে বলে আশা করা যায়। ‘অতি বিষেশায়িত প্রকৌশলীদের’ নতুন এই কর্মসংস্থানে অন্তর্ভূক্ত করা হবে আগামী ৫ বছরের মধ্যে।

ফেসবুক বলছে, বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ইউরোপীয় ইউনিয়ন বেশকিছু ভাল সুবিধা দেয়। এরমধ্যে ভোক্তাবাজার, প্রথম সারির বিশ্ববিদ্যালয় ও গুণগত প্রতিভা অন্যতম। আর মানের বিচারে সবচেয়ে অগ্রাধিকারের জায়গা থেকে কর্তৃপক্ষ মেটাভার্স তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে বলেই এমন উদ্যোগ। 

প্রতিদ্বন্দ্বীদের কেনার অভিজ্ঞতা সত্ত্বেও ফেসবুক দাবি করছে, মেটাভার্স রাতারাতি একটি সিঙ্গেল কোম্পানি হিসেবে গঠন হবে না। তবে, এটা সত্যি যে মেটাভার্সের ধারণা পেতে আরো অন্তত ১০ থেকে ১৫ বছর লাগবে। একটি উন্নতমানের মেটাভার্স তৈরি করতে এরইমধ্যে একটি অলাভজনক প্রতিষ্ঠানকে ৫০ মিলিয়ন ডলার দেওয়া হয়েছে। 

কিছু সমালোচক বলছেন, সাম্প্রতিক মাসগুলোতে তাদের কেলেংকারি ঢাকতে নতুন এই ঘোষণার মাধ্যমে ফেসবুক চেষ্টা করছে নিজেদের ইমেজ পুনরুদ্ধার ও মনোযোগ অন্যদিকে সরাতে। এরমধ্যে হুইসেল ব্লোয়ার ফ্রেন্সেস হিউগন থেকে পাওয়া তথ্যই বেশি কাজে লেগেছে যিনি ফেসবুকের নাগরিক সততা টিমের প্রোডাক্ট ম্যানেজার হিসেবে কাজ করছিলেন।

ফেসবুকের অভ্যন্তরীণ গবেষণায় দেখা গেছে, ফেসবুকের মালিকানাধীন ইনস্টাগ্রাম, কিশোর-কিশোরীদের মানসিক স্বাস্থ্যে প্রভাব ফেলেছে। প্ল্যাটফর্মটি অনেক তরুণদের জন্য "ক্ষতিকর" জায়গা হয়ে উঠেছিল বলে গবেষণায় উঠে এলেও ফেসবুক এসব কোনো তথ্যই শেয়ার করেনি।