২০১৬ সালের নভেম্বরে টেলিভিশনের মাধ্যমে রিপোর্টিং ক্যারিয়ারের শুরু। তবে এই পেশা বা কর্মসংস্থানে আসাটা আমার জন্য সহজ ছিল না। কারণ নারীদের বাড়ির বাইরে কাজ করাটা কোনো ভাবেই পছন্দ নয় আমার পরিবারের। সুতরাং এই বাধা পেরিয়ে কর্মসংস্থানে যোগ দেয়া এবং তা চালিয়ে নেয়া খুব কঠিন আমার জন্য। এসব কিছুর মধ্যেও চলতে থাকে রিপোর্টিংয়ের কাজ।
প্রথম অবস্থায় অর্থনীতি বিষয়ক অ্যাসাইমেন্টের পাশাপাশি কাভার করতাম প্রযুক্তি বিষয়ক অ্যাসাইনমেন্টগুলো। এরই মধ্যে প্রযুক্তি নিয়ে কাজের চার বছরের মধ্যে শুরু হয় করোনা মহামারি। মহামারির সময় লকডাউনে ই কমার্সের মাধ্যমে নিত্য প্রয়োজীয় পণ্য ও ওষুধ ঘরবন্দি মানুষের কাছে পৌঁছানোর কাজ ব্যাপকভাবে সমাদৃত হয়। সবকিছু অনলাইন কেন্দ্রিক হওয়ায় এই সংক্রান্ত পণ্যের চাহিদা বেড়ে যায়। লকডাউনের সময় নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যকে জরুরী সেবার আওতায় আনা হলেও বাদ রয়ে যায় প্রযুক্তি পণ্য। সেসময় ক্রেতাদের কাছে ওয়েব ক্যাম, হেডফোন ও ল্যাপটপসহ বিভিন্ন ধরণের প্রযুক্তি পণ্য সরবাহে পুলিশের জেরাসহ নানান সমস্যার মুখে পড়তে হয় ব্যবসায়িদের। তখন এসব সমস্যা নিয়ে একটি প্রতিবেদন তৈরি করি। এই প্রতিবেদনের কারণে কথা বলতে হয় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের সাথে। আমার প্রতিবেদন প্রকাশের কিছুদিন পরই প্রযুক্তি পণ্যকেও জরুরী সেবার আওতায় নিয়ে আসা হলে সমস্যা সমাধান হয় ব্যবসায়িদের।
প্রযুক্তি রিপোর্টার হওয়ার পাশাপাশি আমি একজন অথনৈতিক রিপোর্টারও। তাই করোনা মহামারির সময় নারী ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের নানান সমস্যা নিয়ে প্রতিবেদন করায় ক্ষুদ্র নারী উদ্যোক্তাদের সংগঠন ওয়েন্ড আমাকে ফ্রন্টলাইনার নারী সাংবাদিক হিসেবে পুরস্কার দিয়ে সম্মানিত করেন। পেশার অংশ হিসেবে বাংলাদেশ আইসিটি জার্নালিস্ট ফোরামসহ বেশ কয়েকটি সংগঠনের সদস্য করা হয় আমাকে।
নানা জটিলতার মধ্যেও সাংবাদিকতা চালিয়ে যাচ্ছি। তাই ভবিষ্যতে আইসিটি সেক্টর নিয়ে আরো ভাল কাজ করতে চাই। লুনা শামসুদ্দোহা ছিলেন এই সেক্টরের একজন অগ্রদূত। তাকে অনুসরণ করে নিজেকে আরো সমৃদ্ধ করার প্রয়াস নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি।
- প্রতিবেদনটি লিখেছেন বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্কের(বিডিওএসএন) আওতাধীন ‘এনেবলিং সাস্টেইনেবল ডেভেলপমেন্ট গোলস ফর বাংলাদেশ (ইএসডিজি৪বিডি)’ প্রকল্পের প্রজেক্ট ম্যানেজার, জাহানারা আমির