২০২০ সালের আন্তর্জাতিক ইনফরমেটিক্স অলিম্পিয়াডে (আই ও আই) এই বছর বাংলাদেশের প্রতিযোগী তাসমীম রেজা, রেজোয়ান আরেফিন এবং আরমান ফেরদৌস ব্রোঞ্জ পদক পেয়েছে। এবার আয়োজক ছিল সিঙ্গাপুর। কোভিড ১৯ এর কারণে প্রতিযোগীদের স্বস্ব দেশে কমিটির আয়োজনে এই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের সিএসই বিভাগের ইনফরমেশন এক্সেস সেন্টারে আয়োজক এবং সিঙ্গাপুর থেকে আন্তর্জাতিক কমিটির সার্বক্ষণিক অনলাইন নজরদারিতে ১৬ ও ১৯ তারিখে মূল প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। এই আয়োজন তত্ত্বাবধান করেন বাংলাদেশ ইনফরমেটিক্স অলিম্পিয়াড কমিটির সদস্য ড. মো. কায়কোবাদ এবং ড. সোহেল রহমান। এবার ৮৭টি দেশ থেকে মোট ৩৪৩ জন প্রতিযোগী এই অলিম্পিয়াডে অংশগ্রহণ করেছিল। বাংলাদেশে এই অলিম্পিয়াড আয়োজনে ডাচ-বাংলা ব্যাংক পৃষ্ঠপোষকতা করে আসছে।
স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদেরদের জন্য আয়োজিত এই আন্তর্জাতিক ইনফরমেটিক্স অলিম্পিয়াড ১৯৮৯ সালে বুলগেরিয়াতে শুরু হয়েছিল। এই দেশের ছেলেমেয়েদের প্রোগ্রামিংয়ে উৎসাহিত করতে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞানের অধ্যাপকদের নিয়ে বাংলাদেশ ইনফরমেটিক্স অলিম্পিয়াড কমিটি প্রতিষ্ঠিত হয়। এই কমিটি নিয়মানুযায়ী ২০০৪ সালে গ্রিসে একজন পর্যবেক্ষক প্রেরণ করে। ২০০৬ সালে আমাদের প্রথম দল মেক্সিকোতে আই ও আইতে অংশগ্রহণ করে। বাংলাদেশের সকল অলিম্পিয়াডের প্রথম রৌপ্য পদক ২০০৯ সালে সিটি কলেজের ছাত্র মোহাম্মদ আবীরুল ইসলাম অর্জন করে। এপর্যন্ত আই ও আইয়ের আসর থেকে আমাদের ছাত্র-ছাত্রীরা দুইটি রৌপ্য পদক এবং ১৬টি ব্রোঞ্জ পদক অর্জন করেছে। ২০১২ সালে বাংলদেশের ছাত্রী বৃষ্টি সিকদার ইতালিতে আয়োজিত প্রতিযোগিতায় শ্রেষ্ঠ বিবেচিত হয়েছিল।