এদেশের প্রায় এক কোটি বা তারও বেশি মানুষের প্রাতিষ্ঠানিক চাকরি নাই । এদের কেউ রিকশা চালায়, কেউ দিন মজুরি করে সংসার চালায়। কোভিন ১৯ এর ফলে তারা এখন কাজ করতে পারছে না। করোনার আগে কত প্রতিষ্ঠান রোবট দিয়ে কাজ করিয়েছে। কিন্তু এখন রোবট ফেলে মানুষকে কাজে লাগাচ্ছে। এতে যেন একজন কর্মীরও চাকরি বাঁচে। এছাড়া, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে অনলাইনেই বিশ্বের যেকোনো জায়গা থেকে পড়াশোনার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।
এসব বিষয় নিয়ে আলোচনায় মূল সঞ্চালক বিডিওএসএনের সাধারণ সম্পাদক মুনির হাসানের সঙ্গে অংশ নিয়েছিলেন, জাপানের কিয়শু বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, ডা. আশির আহমেদ, এফ এম প্লাস্টিক উদ্যোক্তা, গাজী তৌহিদুর রহমান, ও তাসলিমা মিজি, উদ্যোক্তা, গুটিপা।
আশির আহমেদ বলেন, দুইটা বিষয় নিয়ে ভাবার জায়গা আছে।
কর্ম ক্ষেত্রে নতুন সুযোগ তৈরি করা এবং পাশাপাশি পুরোনোগুলোকে একেবারে বাদ না দিয়ে এটার অল্টার খোঁজা। নতুন করে ভাবতে হবে যে, নতুন তৈরি হওয়া জায়গায় স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সচেতনতা ও নিরাপত্তার বিষয় থাকবে। চাকরির রিকয়ারমেন্ট হিসেবে একটা কলাম যুক্ত হতে পারে যে, আপনি যে রোগ ছড়াবেন না এটার কি নিশ্চয়তা বা আপনি কতটুকু সচেতন আছেন এমন! নিজেদের ক্রিয়েটিভিটি কাজে লাগিয়ে নুতনভাবে পুরোনোটাকেই কাজে লাগাতে পারলে ভাল হবে। তাই সবার উচিত এখন ঘিলু খাটানো। কাজ তৈরি করা। ছোট, বড় কাজ। ছোট বিনিয়োগ, ছোট লাভ। সেই সঙ্গে একটা করে পরিবারকে স্বয়ংসম্পুর্ন করা।
তাসলিমা জানান, এই সময়ে বিশ্বব্যাপী হেল্থ ইকুইপমেন্টের বিরাট একটা মার্কেট তৈরি হয়ে গেছে। বাংলাদেশ যেহেতু তৈরি পোশাক রপ্তানিকারক দেশ তাতে মাক্স, পিপিই, ফেব্রিকের গ্লাভসসহ অনেক কিছুই তৈরি করা সহজ। মেশিনের সাথে ছোট ছোট যন্ত্রাংশ যুক্ত করে নতুন এসব পণ্য বানানো এখন অনেকের জন্য নতুন সুযোগ।
তৌহিদুর বলেন, এখন যেহেতু অনলাইনে সবাই কেনাকাটা করছে সেহেতু অনলাইন মার্কেটিং এরও অনেক সম্ভাবনা আছে। যে যত তাড়াতাড়ি স্মার্টলি ইকমার্স প্লাটফর্মে ঢুকে যেতে পারবে তারা সত্যিকারভাবে টিকে যেতে পারবে। এ পরিস্থিতিতে একদিকে কিছু কাজ বন্ধ হয়ে যাবে আবার কিছু কাজের সুযোগ তৈরি হবে। এছাড়া, ইমপোর্ট এবং এক্সপোর্ট মার্কেটিং এর এখনই উপযুক্ত সময় বলে তিনি মনে করেন। সেই সঙ্গে যারা কাজের কোয়ালিটি এবং কমিটমেন্ট ঠিক রাখতে পারবে তারাই অনেক দিন টিকে থাকতে পারবে।
করোনার পরে একাডেমিক ব্যবস্থা নিয়ে মুনির হাসান বলেন, এ দেশে যারা টিউশনি করে তাদের হাত খরচ বা পড়ালেখা খরচ চালাতো তারা সবাই এখন গ্রামে চলে গেছে কিন্তু তাদের ছাত্র-ছাত্রীরা ঢাকাতেই আছে, তারা তাদের ছাত্র-ছাত্রীদের অনলাইনে লেখাপড়ার শুরু করাতে পারলে এখানেও একটা চাকরির সুযোগ তৈরি হবে। এ প্রসঙ্গে আশির যোগ করে বলেন, এটাকে কাজে লাগিয়ে যে যেখানে আছে সে সেখানে বসেই বিশ্বের যে কোন জায়গার যে কেউ কে পড়ালেখা করাতে পারে।
মুনির হাসান আরও বলেন, জব মার্কেটগুলোতে কেউ ডিগ্রির দিকে তাকাচ্ছে না সবাই দেখছে স্কিল কি আছে। চাকরি খুঁজবো না চাকরি দেব এই স্লোগান নিয়ে যেদিকেই তাকান সেদিকেই দেখা যাবে আপনার স্কিল্ড হতে হবে! আর এটা শুরু করতে হবে এখন থেকেই।
ভিডিওটি সরাসরি দেখতে- https://bit.ly/3fJAfA2