Blog & News

Official blog of Bangladesh Open Source Network

আয়োজিত হল চাকরি প্রত্যাশীদের সাথে টেক প্রতিষ্ঠান প্রধানদের সাথে অনলাইন নেটওয়ার্কিং সেশন

যেকোনো কিছুর সঙ্গে লেগে থাকলে একসময় সাফল্য আসবেই। কোনো কাজে সুনির্দিষ্ট কিছু সময় দিতেই হবে। অন্তত অফিসের জন্য তো বটেই। পাশাপাশি যে কাজে ইচ্ছা নেই বা কিছুদিন অভ্যাস করেও তা আয়ত্বে আসছে না তা বাদ দিয়ে অন্য কিছু করাই বুদ্ধিমানের কাজ।

ডব্লিউপি ডেভেলপার এর প্রধান আসিফ এম রহমান, ব্রেইনস্টেশন ২৩ এর প্রধান রাইসুল কবির এবং জুমশেপার এর প্রধান কাওসার আহমেদ। এই তিন আইটি কোম্পানির সিইও তাদের নিজেদের অভিজ্ঞতায় এসব কথাই বললেন। ২৪ অক্টোবর (শনিবার) রাতে বিডিওএসএন আয়োজিত অনলাইন জুম সেশনে ৪০ জন চাকরি প্রত্যাশিদের সামনে করনীয় নিয়ে আড্ডায় এসব কথাই বলেন তারা। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বিডিওএসএনের সাধারণ সম্পাদক মুনির হাসান।

122052666 3384416814939997 7263195234158329048 o

ব্রেইনস্টেশন ২৩ এর প্রধান রাইসুল কবির তার এক প্রেজেন্টেশনে জানান, যেকোনো একটি বিষয়ের জন্য কাউকে অন্তত ২০০০ ঘন্টা বা ছয় মাস সময় দেওয়া উচিত। তা না হলে তার সে বিষয়ে কোনো দক্ষতা তৈরি হবে না। যারা অ্যাকাডেমিক পড়াশোনার পর চাকরি করবেন তারা কি করতে চান বা কোথায় যেতে চান সেটা নিয়ে স্টাডি করলে সাফল্য পাবেন।

ডব্লিউপি ডেভেলপার এর প্রধান আসিফ এম রহমান জানান, তিনি তার নিয়োগের সময় একজন চাকরি প্রার্থীকে অন্তত ৪০ মিনিট কম্পিউটারে বসিয়ে দেখেন তা অনলাইনে হলে তাকে ৪০ মিনিট তাকে স্ক্রীনে অবশ্যই থাকতে হবে। অর্থাৎ কোনো কোম্পানি কোনো পার্মানেন্ট এমপ্লয়ি বা ইন্টার্ন নিয়োগের ক্ষেত্রেও তার আন্তরিকতার বিষয়গুলো দেখেন। এছাড়া, তিনি চাকরি প্রত্যাশিদের জন্য কিছু প্রশ্ন তৈরি করেন সেখানে কিছু প্রশ্ন বাদ দেওয়ার সুযোগ থাকে। কিন্তু প্রার্থীরা সেসব প্রশ্নের উত্তর যারা দেয় সাধারণত তাদেরই নিয়োগের জন্য বিবেচনা করা হয়।

জুমশেপার এর প্রধান কাওসার আহমেদ জানান, যদি কাউকে কোনো কোম্পানিতে আট ঘন্টার পারিশ্রমিক দেয়া হয় তাহলে তারা চেষ্টা করে সেই আট ঘন্টাই কোম্পানি তে কাজ করতে। আমি মনে করি কোম্পানি যদি আপনাকে আট ঘন্টার জন্য কম পারিশ্রমিকও দেয় তবু আপনার সর্বোচ্চ কাজ করা উচিত কারণ আপনি যে পরিশ্রম করবেন সেটা কখনো বৃথা যাবেনা। জীবনে যারা সফল হয়েছে তারা কেউ গতানুগতিক ধারায় সফল হয়নি। পৃথিবীতে একজন মানুষও এমন পাওয়া যাবেনা যে পরিশ্রম ছাড়া সফল হয়েছে।

প্রায় দেড় ঘন্টার আলোচনায় মোটা দাগে যা বোঝা গেছে তা হচ্ছে, ক্যারিয়ারের জন্য প্রথমত নিজের ইচ্ছা বা চেষ্টা থাকতে হবে। সফলতার জন্য যেকোনো কাজে লেগে থাকতে হবে এবং আন্তরিকতার সঙ্গে সেই কাজ করে যেতে হবে। না শিখে এগুতে চাইলে তা সম্ভব না।