১৬ বছর বয়স পর্যন্ত বিজ্ঞান শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করে সরকার কারিকুলাম সংশোধনের পরিকল্পনা করছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মুহিবুল হাসান চৌধুরী। পাশাপাশি নতুন কারিকুলামে স্টেম (সায়েন্স, টেকনোলজি, ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড ম্যাথমেটিক্স) শিক্ষা অন্তর্ভুক্ত করার চেষ্টা করবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা উপমন্ত্রী। এতদিনেও স্টেম শিক্ষাবান্ধব কর্মক্ষেত্র তৈরির অক্ষমতার জন্য হতাশাও জানান তিনি।
৮ ডিসেম্বর (মঙ্গলবার) বিকেলে অনলাইনে বাংলাদেশের স্টেম (সায়েন্স, টেকনোলজি, ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড ম্যাথমেটিক্স) শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে বাস্তবিক সম্ভাবনা ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে কোড-১৯ ও আরডুইনো আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
শিক্ষা উপমন্ত্রী মুহিবুল বলেন, এতদিন ধরেও আমরা স্টেম শিক্ষাবান্ধব কর্মক্ষেত্র তৈরি করতে পারিনি, কিন্তু এখুনি সময় এটা নিয়ে কাজ করার। তিনি আরো বলেন, প্রত্যন্ত অঞ্চলের স্কুলের শিক্ষাব্যবস্থাকে স্ট্যান্ডার্ড অবস্থায় আনা, ন্যাশনাল কারিকুলামে তথ্যবহুল কন্টেন্ট যুক্ত করা, সমাজে নারীবান্ধব স্টেম শিক্ষা প্রণয়ন, হাতে কলমে প্রশিক্ষণের পর্যাপ্ত টুল সরবরাহসহ অবকাঠামোগত অনেক চ্যালেঞ্জ থাকা সত্ত্বেও আমরা এখন স্টেম শিক্ষায় ছেলে-মেয়েদের অনেকটা উদ্বুদ্ধ করাতে পেরেছি।
উপমন্ত্রী আরো বলেন, ম্যাথ অলিম্পিয়াড, সায়েন্স অলিম্পিয়াড কিংবা রোবটিক্স অলিম্পিয়াডের মত আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় শিক্ষার্থীদের অর্জন। বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থায় মাধ্যমিকে বিভাগ বিভাজনের বিষয় নিয়ে বলতে তিনি যুক্ত করেন, ক্যারিয়ার ভাবনার গভীরতা একজন মাধ্যমিক পড়ুয়া একজন শিক্ষার্থীর বুঝতে আরো কিছুটা সময় দরকার। তাই আমি মনে করি এই বিভাজনকে সরিয়ে শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞান ভাবনায় উদ্বুদ্ধ করে হাতে কলমে প্রশিক্ষণের সুযোগ সবাইকেই দেয়া প্রয়োজন।
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফল ইকবাল বলেন, বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে একেবারে হেয় করে দেখা যাবেনা, কেননা আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থাও বিস্তর ভাবে প্রসারিত। এখানে স্কুলের সংখ্যা হিসেব করলে ৮০ হাজারেরও বেশি হবে যেখানে ৫০ মিলিয়ন এর ও বেশি ছাত্র-ছাত্রী শিক্ষা নিচ্ছে।
তিনি তার বক্তব্যে দুইটি সময়ের কথা তুলে ধরে বলেন, আমাদের দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আসলে মানসম্মত বিশ্ববিদ্যালয় নয়। কেননা একটা বিশ্ববিদ্যালয় ততক্ষণ মানসম্মত বলতে পারিনা, যতক্ষন না সেখানে কোন রিসার্স ভিত্তিক কাজ হচ্ছে। এছাড়াও আরেকটি সমস্যা তুলে ধরে তিনি বলেন যে আমাদের ছাত্ররাই এক ধরনের সমস্যা। কেননা তারা নিজের দেশে থেকেই রিসার্সের কাজ করতে পারছেনা বা করছেনা এবং পরিশেষে তারা বিদেশে পারি জমায়। তাই আমাদের উচিৎ রিসার্স বান্ধব পরিবেশ তৈরি করা যাতে নিজের দেশে থেকেই আমাদের ছাত্ররা দেশের উন্নয়নে কাজ করে যেতে পারে।
বুয়েট অধ্যাপক ড. ফারসিম মান্নান মোহাম্মাদি বলেন, জনিয়র অলিম্পিয়াড সায়েন্স ও জুনিয়র সায়েন্স আয়োজনে দেখা যায় বাংলাদেশের প্রায় প্রতিষ্ঠানেই উপযুক্ত গবেষণাগার নেই। ফলে দেখা যায় আন্তর্জাতিক অলিম্পিয়াড তারা সম্পূর্ণটা দিতে পারে না। তাদের কথা চিন্তা করে আমরা ম্যাসল্যাব প্রতিষ্ঠা করি এবং অনেক শিক্ষার্থী সেখানে নিজেরাই অনুশীলন করে এবং বর্তমানে তারা আন্তর্জাতিক অলিম্পিয়াডগুলোতে অনেক ভালো পারফর্ম করছে। তিনি কাতারে অবস্থিত স্টেম স্কুল সম্পর্কে বলতে গিয়ে জানান সেখানকার সুযোগসুবিধাগুলো সম্পর্কে এবং বলেন ‘যেহেতু এ ধরনের প্রতিষ্ঠান করতে অনেক অর্থের প্রয়োজন হয় এবং আমার মতে বাংলাদেশ এখনও স্টেম পলিসির জন্য প্রস্তুত নয়, সেহেতু আমরা স্টেম লার্নিং হাব তৈরি করতে পারি।’ তিনি প্রাতিষ্ঠানিক বইয়ে স্টেম এডুকেশন যুক্ত করারও আহ্বান জানান। আরডুইনো বিজনেস ডেভেলপার মাসিমো সাচি, আধুনিক বিশ্বের উদাহরণ টেনে বলেন স্টেম শিক্ষা কার্যক্রম সকল প্রতিষ্ঠানে সকল দেশে দ্রুত বাস্তবায়নই সবাইকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।
আরডুইনোর পক্ষ থেকে তাদের উদ্ভাবন এবং বিভিন্ন রিসোর্স সম্পর্কে অবহিত করতে মাসিমো আরডুইনো ব্রাক্কিও, সায়েন্স কিট ফিজিক্স ল্যাব, সিটিসি গো, ওপিএলএ আইওটি এবং এক্সপ্লোর আইওটি সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরেন। মাসিমো মনে করেন অন্যান্য দেশের কারিকুলামের মত করে বাংলাদেশেও এ ধরনের কারিকুলাম বাস্তবায়ন প্রয়োজন। আরডুইনোর উদ্ভাবনগুলো সম্পর্কে মাসিমো বলেন, আরডুইনো ব্রাক্কিও বান্ডলটি সাধারণত ১৪-১৭ বছর বয়সী সবার জন্য যারা এই কিটের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের ইঞ্জিনিয়ারিং প্রকল্প বানাতে পারবেন। যেমন, সোলার প্যানেল, মানবসদৃশ রোবট। সায়েন্স কিট ফিজিক্স ল্যাবের মাধ্যমে ১১-১৪ বছর বয়সী সবাই ফিজিক্সের বিভিন্ন বিষয় যেমন গতি, পরিবাহক, বিদ্যুতের পরীক্ষণগুলো হাতে কলমে করতে পারবে এবং সাথে সাথে এগুলো স্মার্ট মোবাইল ফোনের মাধ্যমে আরডুইনো সায়েন্স জার্নাল এপ্লিকেশনে সরাসরি দেখে পর্যবেক্ষণ করতে পারবে। তিনি আরো উল্লেখ করেন যে, এগুলো ইতিমধ্যে যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্যের শিক্ষা কারিকুলামে অন্তর্ভুক্ত। তিনি আরো উল্লেখ করেন যে এগুলো ইতিমধ্যে যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্যের শিক্ষা কারিকুলামে অন্তর্ভুক্ত। মাসিমো চান বাইরের দেশের মত বাংলাদেশেও সকল শিক্ষার্থী হাতে কলমে স্টেম শিক্ষাকার্যক্রমে যুক্ত হোক। এ সকল ক্ষেত্রে তারা পাশে থাকবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
হাইটেক পার্ক অথরিটির জয়েন্ট সেক্রেটারি এএনএম শফিকুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশ এখন চতুর্থ শিল্প-বিপ্লব উপলব্ধির পাশাপাশি বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ এর সম্মুখীন হচ্ছে। স্টেমের গুরুত্বপূর্ন একটা অংশ হিসেবে গণিত এদেশে এখন মুখ্য ভুমিকায় রয়েছে। তাই বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে চলার একমাত্র পথ হচ্ছে এই স্টেম শিক্ষা।
তিনি জানান, এরইমধ্যে আইসিটি ডিভিশন এবং বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে রোবটিক্স গবেষণাগার প্রতিস্থাপন করেছে। এছাড়াও, ছোট-বড় সকলের জন্য আইওটি, আরডুইনোর মতো অনেক বিষয়ে ট্রেনিং এর ব্যবস্থাও শুরু করেছেন। এছাড়াও ‘আইডিয়া’ নামক গুরুত্বপূর্ন একটি প্রকল্প এরইমধ্যে শুরু করেছেন যেখানে মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে স্টার্টআপদের সহযোগিতা করা।
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. ইয়াসমিন হক বলেন, আমি যখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিজিক্সে পড়াশুনা করে আমেরিকা যাই তখন আমার বিভাগে ৫০% ছিলো নারী শিক্ষার্থী, কিন্তু যখন আমি আমার পিএইচডি শেষে দেশে ফিরলাম তখন দেখলাম এই অনুপাত কমে ১৬% এ নেমে এসেছে, প্রাইমারী শিক্ষায় মেয়েদের অংশগ্রহণ অনেক হলেও টারশিয়ারী পর্যায় এসে অধিকাংশ ঝরে পড়ে। এটার একটা বড় কারণ হল নারীর প্রতি সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি। এখানে ভাবা হয় ছেলেরা প্রযুক্তি তৈরী করবে এবং নারীরা তা ভোগ করবে। কিন্তু নারীর শিক্ষায় বিনিয়োগ হচ্ছে অর্থনীতির স্মার্ট বিনিয়োগ, তবে অর্থনীতির স্মার্টার বিনিয়োগ হচ্ছে স্টেম শিক্ষায় নারীর উপর বিনিয়োগ। অবকাঠামো গত উন্নয়ন, স্টেম ভিত্তিক বাংলা পাঠ্যপুস্তক প্রণয়ন, হাতে কলমে প্রযুক্তিগত প্রশিক্ষণ কিংবা শিক্ষক প্রশিক্ষণ আমাদের স্টেম শিক্ষায় আরো অনেকদূর এগিয়ে নিতে পারে। যদিও আমাদের দেশে স্টেম শিক্ষা যথেষ্ট ব্যালেন্সড নয়, তবুও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি সরকারি বিভিন্ন উদ্যোগ আমাদের দেশে স্টেম শিক্ষাকে এক ধাপ এগিয়ে নিচ্ছে।
কো-ফাউন্ডার ও সিটিও (আরডুইনো এডুকেশন) ডেভিড কার্টলেস জানান ৩৩ মিলিয়ন মানুষ আরডুইনো ব্যবহার করছেন এবং ৪ হাজার লাইব্রেরী রয়েছে। ১৫ বছরের এই যাত্রায় তারা আরডুইনো কমিউনিটিকে সমর্থন করে আসছেন। তিনি চান সবাই জানুক কিভাবে প্রোগ্রামিং করতে হয় এবং তিনি চান সবাই ইলেক্ট্রনিক্স সম্পর্কে জানুক। সবাইকে জানানোর উদ্দেশ্যেই তারা আরডুইনো বোর্ড নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি আরডুইনোর ব্যাপ্তি এবং ছড়িয়ে পড়ার গল্প সবার মাঝে ভাগ করে নেন। তিনি জানান তারা শিক্ষা কার্যক্রমের উন্নতির জন্যে বিরতিহীনভাবে উদ্ভাবন বজায় রেখেছেন। তিনি পলিসি উন্নয়ন এবং শিক্ষা কারিকুলাম উন্নয়নের দিকে নজর দেন।
নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় সহযোগী অধ্যাপক নোভা আহমেদ বলেন, ‘আমি অনেক দিন ধরে লিঙ্গ বৈষম্য নিয়ে অনেক ধরণের কাজ করেছি। আমি চাই মেয়েদেরকে সব সুবিধায় অন্তর্ভুক্ত করতে। তাদের সমস্যাগুলো জানতে চাই।’ ২০ বছর আগে কম্পিউটার সায়েন্স এবং আইটি বিভাগে মেয়েদের অংশগ্রহণ কম ছিলো। এখনো পরিস্থিতির তেমন কোনো উন্নতি হয়নি জানিয়ে নোভা আহমেদ বলেন, তিনি বিষয়টি নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন।
টেকনোলজি এন্ড ইনোভেশন ডেভেলপার অ্যালেক্স বজোস্কি বলেন, স্টেম শিক্ষা শুধুমাত্র বাংলাদেশ নয় বরং পুরো বিশ্বের সকল দেশের জন্য প্রয়োজনীয়। তিনি ড.ফারসিম এর সঙ্গে একমত হয়ে বলেন, কোনো কিছু উদ্ভাবনই শুধু জরুরী নয়, এমন কিছু আবিষ্কার করা প্রয়োজন যা মানুষকে স্বস্তির অনুভুতি দেয়। তিনি আরো বলেন, আমরা জানি যে প্রয়োজনীয়তা উদ্ভাবনের জনক এবং আমাদের শিক্ষার্থীদের প্রয়োজন অনুভব করতে হবে। তাদের জানার আগ্রহ আরো বেশি বাড়াতে হবে তাহলেই তারা নিজেদেরকে উদ্ভাবক বলে দাবী করতে পারবে।
নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রফেসর লামিয়া ইফতেখার বলেন, বাংলাদেশে রোবটিক্স খুবই জনপ্রিয়। অন্যান্য ইন্সটিটিউশনের মত আমাদের আইওয়ারসি রোবটিক্স ক্লাবে ও রোবটিক্স নিয়ে অনেক কাজ হচ্ছে। আমাদের এখানে যে কেউ মাত্র ৭-৮ মাসের মধ্যে আরডুইনো ও রোবটিক্স এর উপর কোর্স করে দক্ষতা বাড়াতে পারে। কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে হাতে কলমে রোবটিক্স শেখার সুযোগ না থাকলেও টিঙ্কারকেড এর মত অনলাইন প্লাটফর্ম ব্যবহার করে ইলেক্ট্রনিক্স সিমুলেশন শেখানোর পাশাপাশি হ্যাকাথন এর আয়োজন করা যায়। আমি মনে করি, স্কুল ও কলেজ থেকে রোবটিক্স এর উপর ছেলেমেয়েদের ধারণা দেওয়া ও শেখানো উচিত যাতে ইন্ডাস্ট্রিতে দক্ষ লোক পাওয়া যায়। এজন্য, ল্যাব ফ্যাসিলিটি তৈরি, আইডিয়া ইমপ্লিমেন্ট করা ও লাইব্রেরি সুবিধা বাড়ানো দরকার।
ইউএনডিপি’র বাংলাদেশ টিম লিডার সোহারা মেহরোজ সাচি বলেন, আমরা সবসময় চেষ্টা করছি বাংলাদেশের উদীয়মান চ্যালেঞ্জগুলো খুঁজে বের করতে। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে, ৫ মিলিয়ন কর্মী যারা কাজ হারিয়েছে তাদের জন্য স্টীম এডুকেশন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। একজন প্রযুক্তিজ্ঞান সম্পন্ন ব্যক্তি একজন অ-প্রযুক্তিজ্ঞান সম্পন্ন ব্যক্তির সাথে যোগাযোগ করাই হচ্ছে স্টীম এডুকেশন তাই দেশে স্টেম এডুকেশন বাড়াতে সবারই সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা করা উচিত।
কোড ১৯ বিজনেস ডেভেলপমেন্ট ডিরেক্টর ইমতিয়াজ ফারহান বিন হাবিব বলেন, তিনি যখন শিক্ষার্থী ছিলেন তখন কোন কিছু শেখার এতোটা সুযোগ তৈরি হয়নি কিন্তু বর্তমানে দেখা যাচ্ছে বাংলাদেশেও স্টেম শিক্ষা প্রচার শুরু হয়েছে। তিনি শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব এর মতো কয়েকটি উদ্যোগ এর কথা উল্ল্যেখ করে বলেন বাংলাদেশ সরকারের এই ধরনের উদ্যোগ খুবই প্রশংসনীয়। বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক চেষ্টা করে যাচ্ছে, এসটিইএম কে যুব সমাজের মাঝে জনপ্রিয় করে তোলার।
বিডিওএসএন সাধারণ সম্পাদক মুনির হাসান বলেন, স্টেম পলিসি আজকের আলোচনার একটা বড় অংশ বলে আমি মনে করি। খুব সম্প্রতি শ্রীলংকা তাদের শিক্ষা কারিকুলামের বাইরেও শুধুমাত্র স্টেম শিক্ষার জন্য পলিসি তৈরী করেছে, আমাদের পাশের দেশ ভারতে শিক্ষা কারিকুলাম পলিসির মাঝেই স্টেম পলিসি অন্তর্ভুক্ত করেছে। সুতরাং, এখুনি সময় আমাদের স্টেম পলিসি নিয়ে আলাদা করে চিন্তা করার। হতে পারে নতুন স্টেম পলিসি তৈরী করা কিংবা বিদ্যমান ন্যশনাল কারিকুলামের মাঝেই স্টেম পলিসি কে অন্তর্ভুক্ত করা।
পিএইচডি স্টুডেন্ট রিসায়াত ইসলাম বলেন, ক্যাম্ব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় আমি অনুভব করি এআই এর মত টেকনিক্যাল বিষয়গুলো বোঝার জন্য গণিত জানা কত গুরত্বপুর্ণ। কিন্তু আমাদের এডুকেশনে গণিত নিয়ে পড়াশুনার পর টেকনিক্যাল সেক্টরে এগিয়ে যাওয়া অনেক কঠিন। তাই আমি মনে করি, স্টেম এডুকেশন পলিসি এইসব সমাধানে গুরুত্বপুর্ণ অবদান রাখবে। স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থীদের জন্য ম্যাথ অল্যম্পিয়াড বিশেষ অবদান রাখছে।
পুরো অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন, ড. ইমরান এমডি আমিন ফাউন্ডার আইওটি ফর বাংলাদেশ এন্ড কোড-১৯। অনুষ্ঠানে পার্টনার প্রতিষ্ঠান হিসেবে ছিল বিডিওএসএন। সার্বিক সহযোগীতায় ছিল, আরডুইনো, তথ্য ও প্রযুক্তি বিভাগ ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়।